প্রথম
আলো
"প্রথম
আলো এবং হাসনাত আবদুল হাই ক্ষমা চেয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কার কাছে ক্ষমা
চাইল তারা? আর এই অপরাধকে ক্ষমা করার অধিকার গায়ে পড়ে কে নিতে যাচ্ছে? ভুল
এবং অপরাধের মধ্যে তফাৎ আছে; ভুল হয়তো ক্ষমা করা যায় কিন্তু অপরাধ
ক্ষমাহীন। গতকালের গল্পটি লেখা এবং ছাপা ভুল নয় অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি
পেতে হবেই, নইলে এটা একটা খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
শাহবাগ
গণজাগরণের মুল শক্তি ছিল নারীরা। আমরা বলেছিলাম এই আন্দোলন মাতৃমুখী, যেমন
জাহানারা ইমাম ছিলেন যুদ্ধাপরাধের বিচারের আইকন। তেমনি আজকের শ্লোগান কন্যা
লাকী আক্তাররা শাহবাগের আইকন। তাই নারীরাই হয়ে উঠেছে প্রতিক্রিয়াশীল
শক্তির আক্রমনের লক্ষ্য। নারীকে আক্রমণ করে একই সাথে শাহবাগ জাগরণ এবং নারী
প্রগতিকে ঘায়েল করতে চায় অন্ধকারের শক্তি। নারীকে আক্রমনের মধ্যযুগীয়
পুরুষতান্ত্রিক অস্ত্র হচ্ছে যৌন কুৎসা। সেটাই করে চলেছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে
আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, বাঁশের কেল্লা। সেই পাপ যাত্রায় নতুন করে সামিল হোল
হাসনাত আবদুল হাই। বাঁশের কেল্লার প্রচারণা হালে পানি না পেলেও হাসনাত
আবদুল হাইের লেখা তাদের চুপসানো পালে আবার হাওয়া দেবে।
অসংখ্য ফটোশপ যেটা করতে পারেনি সেটা তারা অবলীলায় করে দিলেন একটা গল্প
লিখে। এখানেই হাসনাত আবদুল হাই আর প্রথম আলোর অপরাধ। একটা নিম্নমানের
প্রচারণাকে তারা কৌলীন্য এনে দিল। এবার হাসনাতকে বলতে হবে তার এই কুৎসিত
কল্পনার ভিত্তি কী, ভিত্তি না থাকলে উদ্দেশ্য কী? শ্লোগান কন্যা কয়জন? সে
হিসেবে এটা ব্যক্তিগত মানহানিও কী নয়? শাহবাগ আন্দোলনে অংশ নেয়া সকল নারীর
প্রতি এটা ভার্চুয়াল কুৎসিত যৌন কুৎসা নয়? শাশ্বত নারীত্বের অপমান নয়?
আন্দোলনের মাতৃ প্রতিমূর্তির লাঞ্ছনা নয়?
এই জঘন্য কাজের জন্য
প্রথম আলোর সাজ্জাদ শরিফ কে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি হাসনাত আবদুল
হাইয়ের বাংলা অ্যাকাডেমি পদক প্রত্যাহার করতে হবে। হাসনাত আবদুল হাইয়ের
বিরুদ্ধে সরকার বাদী হয়ে মানহানির মামলা করতে হবে। বিইং সরি ইজ নট এনাফ ইন
দিস রিগার্ড।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন