বর্ষবরণের অন্যতম অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা
বর্ষবরণের অন্যতম অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে চারুকলা ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে। সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং অশুভকে বিতাড়ন করতে ৬০ ফুট লম্বা প্রতীকী সরীসৃপ নিয়ে শুরু হয়েছে বর্ষবরণের অন্যতম আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বিশালাকৃতির এক দানব সরীসৃপ, হাতি-ঘোড়া-বাঘ সব চলেছে অশুভ শক্তি বিনাশে।
আয়োজকরা জানান, চারুকলার সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শাহবাগ, রূপসী বাংলা হোটেলের মোড় থেকে আবার শাহবাগ, টিএসসি হয়ে চারুকলার সামনে মিলবে।
ছায়ানটের অনুষ্ঠান শেষে শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। কারো হাতে বাঘের মুখোশ, কারো হাতে হাতপাখা, কেউবা নিয়েছেন একতারা-দোতারা। বাঙালির ঐতিহ্যকে ধারণ করে এ মঙ্গল শোভাযাত্রা।
প্রতি বছরই বর্ষবরণ উৎসবে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রায় থাকে বিশেষ কোনো প্রতীক। এবারের প্রতীক স্বাধীনতার চার দশক পর যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শাহবাগের যে আন্দোলন বেগবান, তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবার পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকবে ৬৫ ফুট দীর্ঘ ভিনদেশি এক সরীসৃপ। দানবীয় এই প্রাণিকে ‘রূপক’ হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হবে বাঙালির ঐতিহ্যের দিনটিতে, যা তাড়াবে অশুভ শক্তি।
বিশালাকৃতির এক সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীর ‘রূপ’, যেটি মূল থিমেটিক স্ট্রাকচার তৈরির কাজ প্রায় শেষ দিকে। সরীসৃপ এই প্রাণীটি ক্ষিপ্র গতিতে ঘাড় ঘুরিয়ে মুখ থেকে ছুড়ছে আগুন।
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি কাজের সমন্বয়ক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “আগামীর ভবিষৎ তরুণ প্রজন্মসহ সবার দাবি যুদ্ধাপরাধীরে ফাঁসি, রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ। সেই দাবিকেই শোভাযাত্রায় ফুঁটিয়ে তোলা হচ্ছে রূপকের মাধ্যমে।”
বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের দিনটিতে রং-বেরঙের মুখোশ, শোলার পাখি, পেঁচা, প্রজাপতি, খরগোশ ও টেপা পুতুল, ঢাক-ঢোল-বাঁশি, লাঠি-বর্শা, তীর-ধনুক নিয়ে অংশ নিচ্ছেন মঙ্গলের যাত্রীরা।
মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে বৈশাখ থেকে বাংলা সাল গণনা শুরু হয়। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য তারা বর্ষ শুরুর জন্য সে দিনটি হিসেব করছিল, তা এখন বাঙালির নববর্ষ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন