কোরান-হাদিসের ৮২ দোকান ছাই
হেফাজতে ইসলামের দিনভর ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রেহাই পায়নি পবিত্র ধর্মীয়
গ্রন্থের বিপণীবিতানও। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ পাশে কোরান-হাদিসের ৮২টি
দোকান পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে হেফাজতের লোকজন।
সোমবার সকালে মতিঝিল,
পল্টন, শাপলা চত্বর, বায়তুল মোকাররম ঘুরে ধ্বংসস্তূপের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া
গেছে। এর মধ্যে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ পাশে থাকা ধর্মীয় গ্রন্থের
মার্কেটে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে হেফাজত। তাদের সহিংসতায় বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত
হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
দোকানি নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন,
“আমার দোকানে কোরান, হাদিসসহ বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ ছিল। রোববার সকাল থেকেই
আমি দোকানে ছিলাম। হেফাজতের লোকজন কর্মসূচি শুরু করলে পুলিশ এসে আমাদের
জানায়, এখান থেকে সরে যেতে হবে। আমরা দোকান বন্ধ করে চলে যায়। পরে শুনি
তারা আমাদের সব দোকান জ্বালিয়ে দিয়েছে।”
নুরুল আমিন বলেন, “আমার দোকানে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
ক্ষতিগ্রস্ত
টুপি ব্যবসায়ী রবিউল আওয়াল বাংলানিউজকে বলেন, “ভাই, আমার সব শেষ। আমি কী
করে সংসার চালাব। আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার চাই।” তিনি জানান, হেফাজতের
লোকজন ইসলাম রক্ষার নাম করে ধ্বংস করে গেছে।
ব্যবসায়ী মুসা বলেন,
মাথায় টুপি, গায়ে পাঞ্জাবি পরা লোকজন এসে দোকানে পেট্রোল ঢেলে তাতে আগুন
ধরিয়ে দিয়েছে। তারা হাদিস-কোরান পুড়িয়ে দিয়েছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
ক্ষতিগ্রস্তদের সমাবেদনা আসা শিরিন পাবলিকেশনসের মালিক মামুন খান বলেন, “কোরান-হাদিস পোড়ানো তো ধর্ম অবমাননা।”
রোববার
দিনভর রাজধানীর পুরান পল্টন, নয়াপল্টন, মতিঝিল, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলার
মোড়, জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তানে গোলাপশাহ মাজার প্রভৃতি স্থানে ধ্বংস চালায়
হেফাজতের লোকজন। পরে রাতে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সমন্বিত অভিযানে মতিঝিল
থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর উল্লিখিত এসব স্থানে বহু ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন
পাওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন